
সিএসবি২৪ ডটকম ॥
উখিয়ায় চিংড়ি ঘেরের বিরোধ নিয়ে ঘণ্টা ব্যাপী বন্দুক যুদ্ধে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৫জনের অবস্থা আংশকাজনক। উত্তেজিত চিংড়িঘের মালিকরা পুলিশের ও ওয়াক্ফ স্টেটের মোতাওয়াল্লী সোহেল মোস্তফা চৌধুরীর দু’টি নোহা গাড়ী ভাংচুর করে। এসময় জনতার রোষানল থেকে পালিয়ে যায় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পালংখালী আঞ্জুমান পাড়া সড়কের করাচি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৌলভী আবদুল ওয়াক্ফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লী লতিফ আনোয়ার চৌধুরীর নিকট থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে ৯শ ৫০ একর জমির ১৪টি চিংড়ি ঘের লাগিয়ত হিসেবে দু’ বছরের জন্য লীজ নেয়। সম্প্রতি আদালত কতৃক মোতাওয়াল্লী পরিবর্তন হয়ে সোহেল মোস্তফা চৌধুরীর নতুন মোতাওল্লী নিয়োগ হয়। মোতাওয়াল্লী পরিবর্তন হওয়ায় চিংড়ি ঘের লীজ নেওয়া প্রান্তিক চাষীরা তাদের চিংড়ি ঘের এবং টাকা ফেরত না দিয়ে অন্যত্র লাগিয়ত করার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। চাষীরা এ খবর পেয়ে শুক্রবার ভোর ৭টা থেকে পালংখালী আঞ্জুমান পাড়া সড়কের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে মোতাওয়াল্লী সোহেল মোস্তফা চৌধুরী থানা পুলিশ ও বিজিবি নিয়ে এলাকায় ঢুকতে চাইলে চাষীরা তাদের গতিরোধ করে তাদের ন্যায্য পাওনার দাবীতে নতুন মোতাওয়াল্লীকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় উদ্ধুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আতœরক্ষার্থে পুলিশ ও বিজিবি প্রায় অর্ধশত রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশ ও বিজিবির গুলিতে আজিজুর রহমান প্রকাশ কালা চান (২৮), সুলতান (৩২), একরাম (৩০), ছগির আহমদ লালু (৩৫), শামশুন্নাহার (২৫), আয়েশা (৩০), মনোয়ারা (৩৩), জানুয়ারা (২২), ছরওয়ারা বেগম (৪০), ছেনুয়ারা (৩২), হাজেরা বেগম (৪৫), লায়ল (৪২), আনোয়ারা, তোফাইল (৩৪), আলী মঞ্জুর (৩০), আবুল কালাম (২৮), মোঃ আবুল কালাম (২৯) সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছুড়ার কথা স্বীকার করেছেন এবং পৃথক মামলা রুজু হয়েছে বলে জানান।
পাঠকের মতামত